Latest in Tech

Thursday, November 5, 2020

ডোমেইন বিক্রি করে ইনকাম করুন


 


ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করা যায় এই কথা এখন সবার নিকটে চলে গেছে।  তবে অনেক ইনকাম  এর উপায় আছে যা অনেকের নিকট ই অজানা। আজকে আমি আপনাদের কাছে ডোমেইন বিক্রি করে ইনকাম এর সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি।

ডোমেইন নেম কেনা বেচার আগে আপনাকে ডোমেইন নেম সম্পর্কে জানতে হবে। প্রথমে ডোমেইন নেম কি?  সহজ ভাষায় ডোমেইন নেম হলো ওয়েবসাইট এর ঠিকানা। সাধারণত ওয়েবসাইট বিভিন্ন সার্ভার 
কম্প্পিউটার গুলোতে পৃথিবীর যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে।  তবে সেখানে প্রবেশ করতে হলে নির্দিষ্ট কোড টাইপ করতে হয়। যেমনঃ123.33.455.5.।আর এই কোডকে বলা হয় 
আইপি অ্যাড্রেস। কিন্তু সমস্যা হল, পৃথিবীতে কোটি কোটি  ওয়েেবসাইট আছে। এতগুলা কোড  কি ভাবে মনে রাখবে মানুষ! এই সমস্যা সমাধানের জন্য আসলো ডোমেইন নেম।  এই  কোড গুলার নাম 
পরিবর্তন করে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়।  যেমনঃ Amazon.com।  ডোমেইন নেম সর্বোচ্চ ৬৩  অক্ষর এর হয়।  ডোমেইন নেম এ শুধু অক্ষর, নাম্বার এবং হাইফেন চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।  
ডোমেইন নেম কিভাবে কেনা বেচা করে?
বিভিন্ন ব্যক্তি, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ডোমেইন ক্রয় করে। ডোমেইন নেম ক্র‍য় করার অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে।  এখন প্রশ্ন  হল কোম্পানি ডোমেইন কিনবে ডোমেইন কিনার সাইট থেকে, তাহলে আমার আয় কিভাবে হবে?  
মাথা ঠান্ডা রাখুন, ২০১০ সালে ফেসবুক fb.com এই ডোমেইন টা ক্র‍য় করে।  কিন্তু ডোমেইন টি কোন ডোমেইন কেনা বেছার ওয়েবসাইট এর অধীনে ছিল না। ডোমেইন টা ছিল একটা ছেলের অধীনে যে কিনা এই ডোমেইন আগেই কিনে রেখেছিলো।  পরে ফেস্টিভ্যাল এটা কিনার ইচ্ছা পোষণ করলে, তখন ওই ছেলে ডোমেইন টা ৮.৫ মিলিয়ন ডলার এ বিক্রি করে দেয়।  এছাড়া বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি তাদের mi.com ওয়েবসাইট টি ও এইভাবে ২০১৪ সালে ৩.৬  মিলিয়ন ডলার এ কিনেছিলো।  এইবার ভাবুন তো আপনি যদি শাওমি কোম্পানি তৈরি হওয়ার আগে mi.com নামের একটা ডোমেইন কিনে রেখে দিতেন তাহলে কি অবস্থা হত! 
চিন্তা ভাবনা তো অনেক হলো চলুন এই বার প্রফেশনালী কিভাবে ডোমেইন কেনা বেচা যায় জেনে নিয়। ডোমেইন কেনাবেচাকে ডোমেইন পাকিং বলে।  আজকাল ডোমেইন কেনার ওয়েবসাইট গুলোই তাদের সাইট এ ডোমেইন বিক্রির সুবিধা দিয়ে থেকে। এ ই রকম কয়েকটা সাইট হলো 
(1)namecheap
(2)sedo
(3)Godaddy
(4)Flippa
(5)lgloor
(6)Afternic
(7)namejet
উপরে উল্লেখিত ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রথম দিকে ৭-১০ ডলার এর বিনিময়ে ১ বছর এর জন্য ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন। এইবার এই ডোমেইন কে আপনি ইচ্ছা মতো দাম দিয়ে বিক্রি করে দিতে পারবেন এবং ডোমেইন বিক্রির পর ওয়েবসাইট এ টাকা জমা হয়ে যাবে। 
ডোমেইন নেম কেনাবেচার কিছু ট্রিপস 
ব্যবসায় সফল হতে হলে যেমন অবেন ট্রিপস এবং ট্রিকস অনুসরণ করতে হয়, তেমনি ডোমেইন কেনাবেচার ও কিচু নিয়ম আছে। নিছে এই রকম কিছু ট্রিপস আলোচনা করা হল।  


টার্গেট নিধারন করুনঃ আপনি কি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন?  কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন তা ঠিক করুন। আপনি টার্গেট নিতে পারেন স্কুল, কলেজ,  কোম্পানি ইত্যাদি।  এখন এক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে দাম ঠিক করবেন।  কারন পছন্দ হলেও দাম এর কারনে অনেকেই ডোমেইন কিনে না।



 মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন কিনুনঃ 

অনেক ওয়েবসাইট মালিক আছে যাদের ডোমেইন এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় কিন্তু রিনিউ করে না। এই ধরনের ডোমেইন কিনা লাভজনক। কেননা এদের গুগল র‍্যাংক বেশী হওয়ায় মানুষ কিনতে আগ্রহী হয় বেশী।  

মার্কেট রিসার্চ করুনঃ নিয়মিত মার্কেট রিসার্চ করুন।  মানুষ কোন ধরনের ডোমেইন বেশি কিনছে সেই দিকে খেয়াল রাখুন । 
সঠিক কি ওয়ার্ড এর ডোমেইন নিবার্চন করুনঃ সঠিক কি - ওয়ার্ড বলতে যেমন একজন গাড়ি বিক্রির সাইট তৈরি করতে চাইলে গাড়ি সম্পর্কিত কি- ওয়ার্ড বেশি প্রাধান্য দেয়া। এছাড়া সঠিক কি-ওয়ার্ড এসইও র‍্যাংক এর জন্য জরুরি।
অনেক কিছুই তো জানা হল আশা করি। এবার নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন ডোমেইন কিনাবেচার ভবিষ্যত কি?  এক কথায় উত্তর দেয়া সম্বব না একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।  গত মার্চ মাসে ডোমেইন বিক্রির কিছু সাইট নতুন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন পরিসংখ্যান দেখুন 
১.GoDaddy- ১,৬৯৯,৩২০টি
২.Namecheap-৭,৮১,৬৯৭টি
৩. Uniregustrear Corp- ৬৩,৭০১টি
৪. Xin Net Technology -৩,২৮,২৭২টি
৫.Tucoms Domains Inc-৪০,৩৯২টি
এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি সাইট এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।  এইরকম শত শত সাইট আছে যারা ডোমেইন বিক্রি করে। তাহলে এবার চিন্তা করুন নিয়মিত কি পরিমাণ ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।  এবার ডোমেইন  বিক্রি করে কিছু কোটিপতি হওয়া কয়েকজন তালিকা দেখুন = 
(১) Insurance. com= ৩৫ মিলিয়ন ডলার
(২)Vacation.com= ১৮ মিলিয়ন ডলার 


আশা করি,  ডোমেইন কেনা বেচা সম্পর্কে আর কিছু বলতে হবে না। আপনি যদি ধৈর্য এবং মেধার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন,  তবে আপনিও হয়তো এই মিলিয়নদের একজন হয়ে যাবেন।

Wednesday, October 14, 2020

ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পুর্ন গইডলাইন


ফ্রিল্যান্সিং হলো কোন কোম্পানির আওতায় কাজ না করে চুক্তির ভিত্তিতে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নের কাজ করে দেওয়া।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং  করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে মাইন্ড সেটআপ করতে হবে। কারন এটি কোন চাকরি না।  এই পেশায় আপনি নির্দিষ্ট সময় পর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। এই পেশায় আপনি কোন মাসে বেশি ইনকাম করতে পারলেও অন্য মাসে কমে যেতে পারে।  প্রথম অবস্তায় আপনি অনেক পরিমান আয় করতে পারবেন না। আর আমাদের এই দেশে যথাযথ গাইডলাইন এর অভাবে অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার এ তাদের লক্ষ পুরন করতে পারেনা।  ফ্রিল্যান্সিং করার আগে ৪ টা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আপনাকে পার করতে হবে।

১. ফ্রিল্যান্সিং কাজ টি বুঝাঃ 

একটা কথা আছে "পরিকল্পনা ই একটি কাজের ৫০% "। আপনাকে প্রথমে কাজটি কি ভাবে করে তার উপর একটা বেসিক একটা ধারণা থাকতে হবে। আপনি কাজ না বুঝলে কিছু ই করতে পারবেন না। তাই কাজ টি করার আগে কাজটি কি ভাবে করে ও কাজ টিতে কি কি সুযোগ সুবিধা আছে তা জানতে হবে 

২.ফ্রিল্যান্সিং কাজটা শিখাঃ

কাজ টা বুঝার পর আপনাকে কাজ টা শিখতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেকেই ভুল করে।  কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস এ ১২০০+ কাজ রয়েছে আপনি চাইলে ও সব কাজ করতে পারবেন না। আপনাকে প্রথমে একটা কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে।  তবে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফ্রিল্যান্সার নাসিম বলেছেন " যেহেতু  আপনি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে চাচ্ছেন তাই আপনি শিখার সময় এমন একটা কাজ শিখা দরকার যার চাহিদা বেশি ও মূল্য বেশি। তবে আপনি যে কাজ টার প্রতি আগ্রহি ওই কাজ টা ই শিখুন।  লেগে থাকূন।  সফলতা পাবেন ই।  শিখার সময় আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে শিখতে পারেন।  বর্তমানে ইউটিউব বা গুগল এ অসংখ্য বাংলাতে কন্টেন্ট আছে।  আপনি যে বিষয়ের উপর কাজ করতে চান ওউ বিষয় নিয়ে অনলাইন থেকে ই শিখতে পারেন।  তবে ইউটিউব না গুগল এ আপনি সাজানো কন্টেন্ট নাও পেতে পারেন।  তাই  যারা অনলাইন এ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চায় তাদের জন্য সুখবর লিয়ে আসল বাংলাদেশের ১ নাম্বার অন  লাইন লার্নিং সাইট "MSB Academy "।  আপনি এই সাইট ই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ এর বিষয়ে A-Z জানতে পারবেন।  এই সাইট আপনাকে দিচ্ছে লাইফ সাপোর্টে। এছাড়া বিশাল পরিমান ছাড় এ শিখার সুযোগ।  MSB Academy  এর সার্ভিস সমূহ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই লিক্ন এ ক্লিক করুmsbacademy.com/all-courses/ref/845

৩. ফ্রিল্যান্সিং কাজ টা অনুশীলন করাঃ  ফ্রিল্যান্সিং কাজ টা করার আগে নতুন রা অনেক বড় ভুল করে ফেলে।  অনেকেই কাজ টা যথাযথ  অনূশীলন না করে কাজ করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এটা মোটেও ভালো না। কারন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস এ দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর অভাব নাই।  আপনি কাজের জন্য  আবেদন করে কাজ পেয়ে গেলে হয়তো পেয়ে যেতে পারেন।  কিন্তু আপনি অদূর ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন না। কারব আপবার বায়ার যদি দেখে আপনি বেশী দক্ষতার সাথে কাজ টা করতে পারেন নাই তাহলে আপনি আর পরবর্তি তে আর ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে কাজ পাওয়ার আশা করতে পারবেন না। এছাড়া ওই বায়ার যদি আপনার একাউন্ট এ রিপোর্ট দেয় তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট ব্লক হয়ে যাবে।  আর একাউন্ট ব্লক হলে আর আপনি নতুন একাউন্ট খুলতে পারবেন না ।  তাই সাবধান।  আপনি কাজ টা ভালো করে আয়ত্ত করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।

৪.কাজের জন্য যথাযথ ভাবে আবেদন করাঃ

কাজ শিখা আর অনূশিলন এর পর আপনার জন্য সর্বশেষ এবংং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিক জায়গায় আবেদন করা। এই ক্ষেত্রে নতুন রা ভুল করে থাকে। অনেকেই কাজ পারা সত্তেও কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। আপনি যেহেতু আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেস এ কাজ  কাজ করছেন তাই আপনাকে সকল ডকুমেন্টস যোগাড় করে কাজ এর জন্য আবেদন করা উচিত।  কোন প্রকার ভুল তথ্য দিবেন না।  আর আপনার কাজের দক্ষতা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলুন। তা হলে আপনার কাজ পাওয়ার পরিমাণ বেশি হবে।  আর আপনি কিভাবে আপনার পোর্টফলিও রেডি করবেন তার জন্য ও ইউটিউব কিংবা গুগল এ অসংখ্য কন্টেন্ট আছে।  দেখে দেখে রেডি করুন।  তার পার ও আপনি প্রফেনাল দের সাহায্য চাইলে এই লিক্ন এ ক্লিক mকরুনঃmsbacademy.com/all-courses/ref/845



Comments System

Disqus Shortname

Powered by Blogger.